শুধু মাওনা ও গাজীপুর চৌরাস্তা নয় জুলাই বিপ্লবে ভবানীপুর কলেজের ভূমিকাও ছিল প্রসংশনীয়।

আজ ১৯ জুলাই ২০২৫। গতবছর ঠিক এই দিন থেকেই পরিপূর্ণভাবে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট সংযোগ। শৈরাচার বিরুধী আন্দোলন ততোদিনে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্ররা তখন পুরোপুরো আন্দোলনে। সকল মানুষ ছিল আতংকে। রাস্তাঘাট ছিল তীব্র সহিংসতাময়, সবাই ছিল উৎকণ্ঠা। 

দিনটা ছিল শুক্রবার অর্থাৎ পুরোপুরোভাবে ইন্টারনেট বন্ধের প্রথম দিন। ভিডিওর দৃশ্যটা সেদিনেরই। ইন্টারনেট বন্ধ থাকা অবস্থায় থেমে থাকেনি গাজীপুর। শুনেছি গাজীপুর চৌরাস্তায় ব্যাপক আন্দোলন চলছে, আমরা কজন গাজীপুর যাচ্ছিলাম উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনের ভিডিও ধারণ।

শ্রীপুর পেড়িয়ে ভবানীপুর গিয়ে আটকে যাই, ভবানীপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক আটকে দিল মাত্রই। আমরা কাছে গেলাম। ব্যানের সামনে একটু দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে ৫ জন, ধাওয়া করবে ভাব।  ছাত্র বন্ধুরা সবাইকে আহবান জানায় আন্দলনে যোগ দিবার, সাথে সাথে আশেপাশের মানুষ গিয়ে ছাত্রদের সাথে যোগ দেয়। আমরাও গেলাম এরপর পুলিশ পিছু হুটে। আন্দোলন চললো আধাবেলা। পুলিশ বুঝাতে চায় আন্দোলন থামানো, কেউ পুলিশ কেয়ার করেনি। এরপর আরো কয়েকগাড়ি পুলিশ এসে আন্দোলনে হামলা চালায়। শুধু মাওনা ও গাজীপুর চৌরাস্তা নয় জুলাই বিপ্লবে ভবানীপুর কলেজের ভূমিকাও ছিল প্রসংশনীয়।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url